বাংলাদেশ কাওয়াসাকি কম্পানির কিছু নির্দিষ্ট মডেলের বাইক রয়েছে। প্রত্যেক বাইকের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই এই বাইক কিনতে পারেনা। কম্পানি বেশ জনপ্রিয়তা পাওয়ার করণে অনেকেই এই কম্পানির বাইক কিনতে আগ্রহী হয়। বাইকগুলো দেখতে স্টাইলিশ এবং সুন্দর ডিজাইনের। আপনি যদি অন্য কম্পানির বাইকের দিকে খেয়াল করেন। তাহলে দেখবেন বিভিন্ন মডেলের বাইক রয়েছে। কম দামের মধ্যে ১৫০ সিসি থেকে ১৬০ সিসির ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে এবং দাম অনেকটাই কম।
তবে আপনি যদি কম্পানির জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমন বাইক খোজ করে থাকেন এবং দেখতে স্টাইলিশ হতে হবে। তাহলে এই কাওয়াসাকি বাইকগুলো দেখতে পারেন। আজকের এই পোস্ট কাওয়াসাকি বাইক নিয়ে। আপনি এখান থেকে খুব সহজেই জানতে পারবেন বাইকের দাম কত এবং স্পেসিফিকেশন। তাই বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন। কাওয়াসাকি বাইকের দাম জেনে নিন এখান থেকে নিন। এখান প্রবেশ করে দেখে নিন বাংলাদেশর দামি বাইক।
Contents
কাওয়াসাকি বাইক
বাংলাদেশ বাজারে যে সকল বাইক প্রিমিয়াম সেগমেন্টে ওই বাইক গুলোতে ১৫০ সিসির ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এবং থেকে ১৬০ সিসির ইঞ্জিন দেখা যায় কাওয়াসাকি কোম্পানি বাংলাদেশ বাজারে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে বাংলাদেশে অনেক গুলো মডেলের বাইক নেই। যে কয়টি বাইক রয়েছে তা গ্রাহকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। তবে এই কোম্পানির বাইরে ১২৫ সিসি এবং ১৫০ সিসি ইঞ্জিন দেখতে পারবেন তবে দেখতে বাইকগুলো স্টাইলিশ এবং সুন্দর ডিজাইন।
কাওয়াসাকি বাইক প্রাইস
এখন দেখে নেব কাওয়াসাকি কোম্পানির বাইকের মডেলের দাম কত।
- Kawasaki KSR pro 110, বাইকের বাজার মূল্য ২,২০,০০০ টাকা।
- Kawasaki z125, বাইকের বাজার মূল্য ৪,১৯,০০০ টাকা।
- Kawasaki Ninja 125, বাইকের বাজার মূল্য ৪,৯৯,০০০ টাকা।
- Kawasaki z125 pro, বাইকের বাজার মূল্য ৪,১৯,০০০ টাকা।
- Kawasaki z125 ABS বাইকের বাজার মূল্য ৪,১৯,০০০ টাকা।
- Kawasaki D-tracker 150, বাইকের বাজার মূল্য ৩,৩০,০০০ টাকা।
- Kawasaki KLX 150 BF, বাইকের বাজার মূল্য ৩,৩০,০০০ টাকা।
কাওয়াসাকি বাইক বাংলাদেশ
Kawasaki z125, এই বাইকটিতে ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে 125 সিসির ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 15 Bhp পাওয়ার এবং 11.7 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 115 kmph, এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl, বাইকের ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১১ লিটার সব মিলিয়ে বাইকের ওজন ১৪৬ কেজি।
Kawasaki Ninja 125 বাইকটিতে ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে 125 সিসি ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 15 Hp পাওয়ার 11.7 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 120 kmph, এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl, ছয়টি গিয়ার বক্স ব্যবহার করা হয়েছে এবং ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ১১ লিটার বাইকের ওজন ১৪৮ কেজি।
কাওয়াসাকি বাইক প্রাইস ইন বাংলাদেশ
Kawasaki z125 pro, এই বাইকটিতে ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে 125 সিসির ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 9.4 BHP পাওয়ার। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 100 kmph, এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl, চারটি গিয়ার বক্স ব্যবহার করা হয়েছে এবং ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ৭.৪ লিটার সব মিলিয়ে বাইকের ওজন ১০১ কেজি।
Kawasaki z125 ABS, বাইকটিতে ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 15 HP পাওয়ার এবং 11.7 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 125 kmph, এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl, পাঁচটি গিয়ার বক্স ব্যবহার করা হয়েছে এবং ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা 11 লিটার সব মিলিয়ে বাইকটির ওজন ১৩৫ কেজি।
কাওয়াসাকি বাইক এর দাম কত
Kawasaki D-tracker 150, এই ভাইকে ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ সিসির ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 12.0 PS পাওয়ার এবং 11.3 Nm টর্ক উৎপন্ন হয়। এই বাইক থেকে সর্বোচ্চ স্পিড পাওয়া সম্ভব 130 kmph, এবং মাইলেজ পাওয়া যায় 45 kmpl, পাঁচটি গিয়ার বক্স ব্যবহার করা হয়েছে এবং বাইকের ট্যাংকের দারুন ক্ষমতা ৭ লিটার সব মিলিয়ে বাইকের ওজন ১০৯ কেজি। এই বাইকে ডাবল ডিস্ক ব্যবহার করা হয়েছে।
বাইকের নাম | দাম (এক্স-শোরুম) |
---|---|
Kawasaki D Tracker | ৩৬৫,০০০ টাকা |
Kawasaki KLX 150 BF | ৩৮৫,০০০ টাকা |
Kawasaki KLX 150L | ৩১০,০০০ টাকা |
Kawasaki KSR Pro | ২১৫,০০০ টাকা |
Kawasaki Ninja 125 | ৪৯৯,০০০ টাকা |
Kawasaki Z125 | ৩৪৯,০০০ টাকা |
Kawasaki Z125 Pro | ৩৪০,০০০ টাকা |
এই দামগুলো সকল শোরুমের জন্য একই নয়। বিভিন্ন শোরুম বিভিন্ন পরিমাণে ডিসকাউন্ট প্রদান করে থাকে।
কাওয়াসাকি বাইকগুলির দাম অন্যান্য ব্র্যান্ডের বাইকের তুলনায় তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হল কাওয়াসাকি বাইকগুলিতে উচ্চতর মান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কাওয়াসাকি বাইকগুলি তাদের শক্তি, গতি এবং ম্যানিপুলেশনের জন্য পরিচিত।
বাংলাদেশে কাওয়াসাকি বাইকের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর হল এশিয়ান মোটরবাইক লিমিটেড।
কাওয়াসাকি বাইক এর দাম কত সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: কাওয়াসাকি বাইক এর দাম অন্যান্য ব্র্যান্ডের বাইকের তুলনায় বেশি কেন?
উত্তর: কাওয়াসাকি বাইকগুলি অন্যান্য ব্র্যান্ডের বাইকের তুলনায় বেশি দামি কারণ কাওয়াসাকি বাইকগুলিতে উচ্চতর মান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কাওয়াসাকি বাইকগুলি তাদের শক্তি, গতি এবং ম্যানিপুলেশনের জন্য পরিচিত।
প্রশ্ন: কাওয়াসাকি বাইক এর দাম কখন কমে?
উত্তর: কাওয়াসাকি বাইক এর দাম সাধারণত বছরের শুরুতে কমে। এছাড়াও, বিভিন্ন শোরুম বিভিন্ন সময়ে ডিসকাউন্ট প্রদান করে থাকে।
প্রশ্ন: কাওয়াসাকি বাইক এর দাম কি কি কারণে বাড়তে পারে?
উত্তর: কাওয়াসাকি বাইক এর দাম বিভিন্ন কারণে বাড়তে পারে, যেমন:
- আমদানি খরচ বৃদ্ধি
- বিপণন খরচ বৃদ্ধি
- মুদ্রাস্ফীতি
প্রশ্ন: কাওয়াসাকি বাইক এর দাম কি কি কারণে কমতে পারে?
উত্তর: কাওয়াসাকি বাইক এর দাম বিভিন্ন কারণে কমতে পারে, যেমন:
- আমদানি খরচ হ্রাস
- বিপণন খরচ হ্রাস
- মুদ্রাস্ফীতির হার হ্রাস
প্রশ্ন: কাওয়াসাকি বাইক এর দাম সম্পর্কে আরও তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তর: কাওয়াসাকি বাইক এর দাম সম্পর্কে আরও তথ্য কাওয়াসাকি বাংলাদেশের ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন মোটরসাইকেল শোরুম থেকে পাওয়া যাবে।
আশা করা যায় এখান থেকে কাওয়াসাকি কোম্পানির। বাইকের বাজার মূল্য জানতে পেরেছেন। যদি এই পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা। আরো অন্যান্য পোস্ট দেখতে পারেন। হয়তো আপনাদের কাছে ভালো রাখতে পারে।
আরও দেখুনঃ
হোন্ডা ড্রিম বাইকের দাম | হোন্ডা ড্রিম নিও বাংলাদেশ প্রাইস
কেটিএম আরসি বাইকের দাম কত | Ktm এর দাম কত বাংলাদেশে
সুজুকি জিক্সার বাইকের দাম কত বাংলাদেশ