বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলে ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক অবদান সর্বজনবিদিত। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বাঙালি কখনো ভুলবে না। ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৭ সালের ১১ মার্চ এবং এবং বায়ান্নর একুশ ফেব্রুয়ারি ছিল চূড়ান্ত বিস্ফোরণ-পর্ব। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই আমাদের চেতনা তথা স্বাধীনতা আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়।
ভাষা দিবস নিয়ে কিছু কথা
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানতে গেলে সবার আগে মনে আসে বহু ভাষাবিদ জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কথা। এর পরেই আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম ও তমদ্দুন মজলিসের ঐতিহাসিক ভূমিকা। মাতৃভাষা দ্বারা জীবনটাকে বেশি উপভোগ করা যায়। আর মাতৃভাষকে অবলম্বনে করেই রাষ্ট্রভাষা গড়ে ওঠে।
১৯৫২ সালের র*ক্তঝরা একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতিসত্তার চাবিকাঠি। ১৯৪৭ পরবর্তী জাতীয় জীবনে সব গণজাগরণ, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের চেতনার মূলে জড়িয়ে আছে ফেব্রুয়ারি মাসের স্মৃতি। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন জাতির সংগ্রামী চেতনার মহাকাব্য। এটি কোনো সাধারণ সন তারিখ নয়।
এটি শোক, প্রেরণা, শপথ আর অঙ্গীকারের মিলিত স্রোতোধারা। ২১-এর পথ ধরেই বাঙালি হেঁটেছিল স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার দিকে। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে বাংলাদেশের মানুষ। ২১ ফেব্রুয়ারি একই সাথে শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
ভাষা দিবস স্বীকৃতি দেয়া হয় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ফাল্গুন মাসের ৮ তারিখ। বাংলা ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার, জাতিসংঘ করে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ ৫ ডিসেম্বর ২০০৮ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আরও দেখুনঃ