আপনারা যারা পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায় জানতে চান। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট এ পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাই আজকের এই পোস্ট থেকে দেখে নিন পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায়। বেশিরভাগ মানুষ পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। তারা যাতে সঠিকভাবে সকল তথ্য জানতে পারে। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট এ পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায় উল্লেখ করা হয়েছে। এবং উল্লেখ করা হয়েছে কিভাবে পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায়।
Contents
পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায়
মেয়েদের পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায়
পেটে মেদ বা চর্বি হলে চলা-ফেরায় যেমন কষ্ট হয়, তেমনি নষ্ট হয় সৌন্দর্যও। অনেকে মেয়ে আছেন খুব বেশি মোটা না কিন্তু পেটে অনেক মেদ কিংবা দেহের কিছু কিছু স্থানে মেদ জমায় খুবই অস্বস্তি বোধ করেন। কোনো ভালো পোশাক পড়লেও ভালো লাগে না। শরীরের এই বাড়তি মেদ কিভাবে দূর করা যায় তার কয়েকটি সহজ উপায় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো –
১. প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর সরবত দিয়ে। এই পদ্ধতি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী ১টি উপায়।
২. সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।
৩. চিনি জাতীয় খাবার থেকে দূরেই থাকুন অর্থাৎ চিনিকে না বলুন। এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম, ফিরনী, সেমাই ইত্যাদি থেকে কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়ে নিন।
৪. উচ্চ তেলযুক্ত খাবার এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসগুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমিয়ে রাখে। যেমন আমাদের পেট কিংবা উরু। সুতরাং বুঝেই ফেলেছেন যে এই খাবারগুলো তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে।
৫. পেটের মেদ কাটিয়ে উঠতে চাইলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে শরীরের বিপাকের হার বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে দূর করে দিবে। তাই পানিকে প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার বলা হয়।
৬. কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকাল বেলা চুষে খান। তারপরে লেবুর সরবত পান করুন। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে এবং শরীরের র*ক্ত প্রবাহ সহজ করবে।
৭. যতদিন পেটের মেদ না কমবে ততদিন নন-ভেজ খাদ্য অর্থাৎ মাংস, মাছ, ডিম, দুধ বাদ দিতে হবে। তবে মাছের টুকরোর চামড়া ফেলে খাওয়া যেতেই পারে।
৮. প্রতিদিন সকাল এবং বিকাল এই দুই সময়ে ফল ও সবজি খান। তবে এক্ষেত্রে পানি জাতীয় ফল বাছাই করুন। এই অভ্যাসটি আপনার দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজলবণ এর ঘাটতি পূরণ করবে।
৭ দিনে মেদ কমানর উপায়
এখানে মাত্র ৭ দিনের মাথায় ভুঁড়ির মেদ নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়ের কথা জানানো হলো –
১. সার্কিট ট্রেনিং পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
২. পেটের পেশির ব্যায়াম করলে খুব দ্রুত মেদ কমে।
৩. খাবারে সাবধান অবলম্বন করতে হবে।
৪. লবণ এড়িয়ে চলতে হবে।
৫. প্রচুর পানি পান করতে হবে।
৬. অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।
৭. ব্যায়ামে এমনিতেই মানসিক চাপ দূর হয়। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ দেহে বিভিন্ন ধরনের বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ ঘটে। এগুলো পেট বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিপ চাপকে বিদায়
পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম
- ব্রিস্ক ওয়াকিং: প্রথমে ধীরে ধীরে এক মিনিট হাঁটুন, তারপর গতি বাড়িয়ে জোরে ৩০ সেকেন্ড হাঁটুন। আবার ধীরে এক মিনিট হাঁটুন, আবার জোরে ৩০ সেকেন্ড। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট।
- জগিং: প্রথমে এক মিনিট জগিং, তারপর ৩০ সেকেন্ড দৌড়ানো, তারপর আবার এক মিনিট জগিং ও ৩০ সেকেন্ড দৌড়ানো। এভাবে ৫ মিনিট।
- ক্রাঞ্চ: মাদুর বা ম্যাটে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছে আনতে চেষ্টা করুন। একই সঙ্গে মাথার পেছনে হাত দিয়ে শরীরটাকে উঠিয়ে হাঁটুর কাছাকাছি নিয়ে যান। হাঁটু মাথা একসঙ্গে আনার সময় শ্বাস নেবেন, আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার সময় শ্বাস ছেড়ে দেবেন। দিনে দুবেলা ১০ থেকে ২০ বার করুন।
- ৯০ ডিগ্রি পা: ম্যাটের ওপর চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন, হাতের তালু ম্যাটের ওপর থাকবে। এবার পা দুটো জোড়া করে নব্বই ডিগ্রি ওপরে উঠিয়ে দিন। ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। পা সোজা রেখে হাঁটু ভাঁজ না করে নামিয়ে আনুন। ১০ থেকে ২০ বার করুন।
- ফ্লাটার কিক: ম্যাটে চিত হয়ে শুয়ে হাত দুটো হিপের নিচে রাখুন। এবার মাথা, কাঁধ ও পা ম্যাট থেকে ধীরে ধীরে ওপরের দিকে ওঠান। এই অবস্থায় দ্রুত পা দুটো ওঠানামা করুন। ৫ থেকে ১০ বার।
- পেটের স্ট্রেচিং: চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত সোজা করে মাথার পেছনে নিয়ে যান টানটান করে। একই সঙ্গে পায়ের পাতা টানটান করে মেঝে ছুঁতে চেষ্টা করুন। পেটের পেশিতে টান অনুভব করবেন এতে। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট থাকবেন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
মেয়েদের পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম
স্কোয়াটস: স্কোয়াটস হচ্ছে ওঠ-বোস। পা সামান্য ফাঁক করে সোজা দাঁড়ান। শরীরটা সোজা রেখেই যতটা নিচে নামতে পারেন ততটা নেমে বসুন। আবার উঠে দাঁড়ান। পিঠ যেন বেঁকে না যায়। গ্লুটস আর পেটের মাসল ভিতরদিকে টেনে রাখবেন। একসঙ্গে অন্তত 20 টি স্কোয়াটস করার চেষ্টা করুন।
ক্রাঞ্চেস: ক্রাঞ্চেস আপনার কোর মাসলকে দারুণ শক্তিশালী করে তোলে, ফলে কোমর আর পেট হয়ে ওঠে নির্মেদ। মাটিতে টানটান হয়ে শুয়ে পড়ে পা ভাঁজ করে ক্রাঞ্চেস করা যায়, পুরো পা ছড়িয়ে করতে পারেন। বিছানা বা কোনও চেয়ারের উপর পা তুেল দিয়েও ক্রাঞ্চেস অভ্যেস করা যায়।
পুশ আপ আর ডিপস: দু’টি ব্যায়ামের ক্ষেত্রেই উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন মাটিতে। ডিপসের ক্ষেত্রে কাঁধ বরাবর হাত রাখুন, পা দুটো একটু ফাঁক করে রাখতে হবে। তার পর হাতের তালু আর পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে শরীরটাকে ওঠানামা করান। পুশ আপের ক্ষেত্রে কাঁধের পাশে হাত থাকবে, পা থাকবে জোড়া। একইভাবে শরীরটাকে মাটির দিকে নামিয়ে আনুন, আবার উপরে তুলুন। পুরো পদ্ধতির সময় গ্লুটসটা ভিতর দিকে টেনে রাখতে হবে। কাঁধ, ছাতি, পেট আর ট্রাইসেপস একইসঙ্গে শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
দৌড় বা স্প্রিন্ট: হাঁটার রুটিনে কিছুদিনের মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে আপনার শরীর, তখন শুরু করুন স্প্রিন্ট বা শর্ট ডিসট্যান্স দৌড়। 100 মিটার খুব দ্রুত ছোটার চেষ্টা করুন। তার পর ব্রেক নিন কয়েক সেকেন্ড, আবার ফিরে আসুন স্টার্টিং পয়েন্টে। আবার বলছি, খুব ভালো রানিং শ্যু পরে তবেই দৌড়বেন। প্রথমদিকে 15 মিনিট বা আধ ঘণ্টা বরাদ্দ রাখুন দৌড়ের জন্য। তার পর প্রতি সপ্তাহে পাঁচ-সাত মিনিট করে সময় বাড়াতে হবে। শীতের ভোরে বা বিকেলে এই ব্যায়াম আপনাকে মুহূর্তে চাঙ্গা করে তুলবে। যাঁরা কখনও দৌড়োননি, তাঁদের পায়ে ব্যথা হওয়াই স্বাভাবিক প্রথম দিকে – তবে অভ্যেস চালিয়ে গেলে ধীরে ধীরে পা আর আপার বডি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
সর্বশেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্ট এর সাহায্যে পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি আজকের এই পোস্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। আরো নতুন তথ্য পেতে পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায় জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।
আরও দেখুনঃ