বাংলাদেশের তিনটি বড় নদীর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পদ্মা নদী। অনদিকে অনেকেই বাংলাদেশের প্রধান নদী হিসেবে পদ্মা নদী কে চিনে থাকে। এটি হিমালয় উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। বাংলাদেশে এই নদীটির দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার ও গড় প্রস্থ ১০ কিলোমিটার। গঙ্গা নদীর রাজশাহী জেলা দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশ ও এখানে নদীটি পদ্মা নাম ধারণ করেছে।
পদ্মা নদী যেসব জেলা সমূহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তাদের নাম হচ্ছে নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর শরীয়তপুর ফরিদপুর রাজবাড়ী চাঁদপুর। পদ্মা নদীর উপরে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সেতু পদ্মা সেতু। ২০২২ সালের ২৫শে জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। যেটা বাংলাদেশের অনেক মানুষ মনে করে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় অর্জন। তাই আজকের এই পোস্টে আপনাদের জন্য পদ্মা নদী নিয়ে ক্যাপশন ও উক্তি উল্লেখ করা হয়েছে।
পদ্মা নদী নিয়ে উক্তি
প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ পদ্মা নদীর পাড়ে পদ্মা সেতু দেখতে ভিড় জমায়। পদ্মা সেতুর এই ছুটে চলা মানুষ ফোনের মাধ্যমে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে। কিন্তু ছবি আপলোড করার সময় কিছু পদ্মা নদী নিয়ে উক্তি শেয়ার করতে চায়। তাদের জন্য নিচে পদ্মা নদী নিয়ে উক্তি উল্লেখ করা হয়েছে।
- পদ্মা মুক্ত চিত্তে প্রবাহিত হয়, কোনো বাধা তাঁকে প্রতিহত করতে পারে না ;
প্রত্যেক মানুষের তা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত - ভালোবাসা কিছুটা নদীর মতন
যখন সে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন সে নতুন পথ খুঁজে নেয়। - নদীতে বানের জল আসলে যেমন থামিয়ে রাখা যায় না
একটি মানুষের জীবনে প্রথম ভালোবাসা আসলে তাকে ভোলা যায় না - নদী কখনো বিপরীত দিকের হয় না তাই নদীর মতো বাঁচার চেষ্টা করুন
আপনার অতীতকে ভুলে যান এবং ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করুন - প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।
- “সমুদ্রের মধ্যে একফোটা জল তেমন উপকার করতে পারে না; তবে যদি এটির মধ্যে একটি দুর্দান্ত নদী প্রবাহিত হয়, তাহলে বিরাট হৈচৈর সৃষ্টি করে।”
- “চাটুকারিতা ও প্রশংসার মাঝে প্রায়ই অবজ্ঞার নদী প্রবাহিত হয়।” – মিন্না আন্তরিম
- উপরে আকাশ, উড়ন্ত পাখি, চারিদিকে সবুজ, নদী প্রবাহিত, পৃথিবী নীচে, ভিতরে শান্তি।”
- “আরও একটি বর্ণমালা অক্ষর রয়েছে, যা প্রতিটি পাতা থেকে ফিসফিস করে, প্রতিটি নদী থেকে গান করে, প্রতিটি আকাশ থেকে ঝকঝক করে।” – দেজন স্টোজনোভিচ
- “পৃথিবী ও আকাশ, গাছ এবং ক্ষেত, হ্রদ এবং নদী, পর্বত এবং সমুদ্র, এরা হলো চমৎকার শিক্ষক, এবং আমাদের কিছুকে বই থেকে শিখতে পারার চেয়ে বেশি কিছু শিখিয়ে দেয়।
পদ্মা নদী নিয়ে ক্যাপশন
পদ্মা নদীর উপরে তৈরিকৃত পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৮.১৮ মিটার। অসংখ্য মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পদ্মা নদীর পাড়ে ইলিশ খেতে ও পদ্মা সেতু দেখার জন্য ভিড় জমায়। তাদের জন্য পদ্মার ইলিশ ও পদ্মা সেতু নিয়ে দারুণ কিছু পদ্মা নদীর ক্যাপশন নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। নিজের পছন্দের পদ্মা নদী নিয়ে ক্যাপশন শেয়ার করুন সবার সাথে।
- নদী যেমন খরস্রোতা হলে সব কিছু ভেঙে চুরে নিয়ে যায়
ঠিক তেমনি মানুষের ভালোবাসা সত্য হলে সব কিছু জয় করতে পারে - পদ্মায় স্রোত আসে তাই নদী বেগবান,
জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময় - নদী কখনই বিপরীত হয় না। তাই নদীর মতো বাঁচার চেষ্টা করুন।
আপনার অতীতকে ভুলে যান এবং আপনার ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করুন।
- নদী নদীর স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না
ঠিক তেমনি ভেঙ্গে যাওয়া মন কখনো কারো জন্য অপেক্ষা করে না - তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন,
সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন - “ নদীতে স্রোত আসে তাই নদী বেগবান, জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময় ”
- নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে।
নদী নিয়ে ক্যাপশন
পদ্মা নদীকে এক নতুন রূপ দিয়েছে পদ্মা সেতু। তাই আপনাদের জন্য পদ্মা নদী নিয়ে দারুন কিছু স্ট্যাটাস সাজানো হয়েছে আজকের এই পোস্টে। নিজের দারুণ কিছু পদ্মা নদীর ছবির সাথে পদ্মা নদীর স্ট্যাটাস লিখে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন। নিচে থেকে পছন্দের পদ্মা সেতু নিয়ে স্ট্যাটাস দেখে নিন।
- একটি নদী কখনই হ্রদে পরিণত হতে চায় না এবং
যে প্রেম নদীর মতো প্রবাহিত হতে পছন্দ করে
সে কখনো মানুষের মতো স্থির হয়ে থাকতে চায় না - নদীর অকাল প্লাবনে যদি ভাঙ্গন ধরে
বাঁধের কিনারে বন্যা হয়ে ভাসাবো তোকে,
আগলে রেখে স্মৃতির মিনারে - যে নদী যত গভীর হয় তার গর্জন ও তত কম ;
নিঃশব্দে সে প্রবাহিত হতে জানে
- নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপাড়েতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - পদ্মার তীরে এক বিকেল
এ যেনো নতুন এক স্বপ্ন ছুয়ে দেখা - উপরে আকাশ, উড়ন্ত পাখি, চারিদিকে সবুজ,
নদী প্রবাহিত, পৃথিবী নীচে, ভিতরে শান্তি।
পদ্মা নদী নিয়ে কবিতা
অনেকেই আছেন যারা ইতিমধ্যে পদ্মা নদী নিয়ে কবিতা ও পদ্মা সেতু সম্পর্কে দারুন কিছু কবিতা লিখেছেন। তাদের লিখিত পদ্মা নদী নিয়ে কবিতা গুলো নিচে দেয়া হয়েছে। যেগুলো আপনারা ব্যবহার করে ফেসবুক সহ বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করতে পারবেন।
হে পদ্মা! প্রলয়ংকরী! হে ভীষণা! ভৈরবী সুন্দরী!
হে প্রগলভা! হে প্রবলা! সমুদ্রের যোগ্য সহচরী
তুমি শুধু, নিবিড় আগ্রহ আর পার গো সহিতে
একা তুমি সাগরের প্রিয়তমা, অয়ি দুবিনীতে!দিগন্ত বিস্তৃত তোমার হাস্যের কল্লোল তারি মত
চলিয়াছে তরঙ্গিয়া, – চির দৃপ্ত, চির অব্যাহত।
দুর্নমিত, অসংযত, গূঢ়চারী, গহন গম্ভীর;
সীমাহীন অবজ্ঞায় ভাঙিয়া চলেছ উভতীর ।রুদ্র সমুদ্রের মত, সমুদ্রেরি মত সমুদার
তোমার বদরহস্ত বিতরিছে ঐশ্বর্যসম্ভার।
উর্বর করিছ মহি, বহিতেছ বাণিজ্যের তরী
গ্রাসিয়া নগর গ্রাম হাসিতেছ দশদিক ভরি।অন্তহীন মূর্ছনায় আন্দোলিত আকাশ সংগীতে, –
ঝঙ্কারিয়া রুদ্রবীণা, মিলাইছ ভৈরবে ললিতে
প্রসন্ন কখনো তুমি, কভু তুমি একান্ত নিষ্ঠুর;
দুর্বোধ, দুর্গম হায়, চিরদিন দুর্জ্ঞেয় সুদূর!শিশুকাল হতে তুমি উচ্ছৃঙ্খল, দুরন্ত দুর্বার;
সগর রাজার ভস্ম করিয়ে স্পর্শ একবার!
স্বর্গ হতে অবতরি ধেয়ে চলে এলে এলোকেশে,
কিরাত-পুলিন্দ-পুণ্ড্র অনাচারী অন্ত্যজের দেশে!বিস্ময়ে বিহ্বল-চিত্ত ভগীরথ ভগ্ন মনোরথ
বৃথা বাজাইল শঙ্খ, নিলে বেছে তুমি নিজ পথ;
আর্যের নৈবেদ্য, বলি, তুচ্ছ করি হে বিদ্রোহী নদী!
অনাহুত-অনার্যের ঘরে গিয়ে আছ সে অবধি।সেই হকে আছ তুমি সমস্যার মত লোক-মাঝে,
ব্যাপৃত সহস্র ভুজ বিপর্যয় প্রলয়ের কাজে!
দম্ভ যবে মূর্তি ধরি স্তম্ভ ও গম্ বুজে দিনরাত
অভ্রভেদী হয়ে ওঠে, তুমি না দেখাও পক্ষপাত।তার প্রতি কোনদিন, সিন্ধুসঙ্গী, হে সাম্যবাদিনী!
মূর্খে বলে কীতিনাশা, হে কোপনা কল্লোলনাদিনী!
ধনী দীনে একাসনে বসায়ে রেখেছ তব তীরে,
সতত সতর্ক তারা অনিশ্চিত পাতার কুটিরে;না জানে সুপ্তির স্বাদ, জড়তার বারতা না জানে,
ভাঙ্গনের মুখে বসি গাহে গান প্লাবনের তানে,
নাহিক বস্তুর মায়া, মরিতে প্রস্তুত চির দিনই!
অয়ি স্বাতন্ত্রের ধারা! অয়ি পদ্মা! অয়ি বিপ্লাবনী!
পদ্মা নদী নিয়ে উক্তি ও ক্যাপশন ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করুন। আরো দারুন দারুন পদ্মা নদী সম্পর্কিত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
Read More