যারা আজকের কুইজের সঠিক উত্তরটি জানতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আমরা অনেক কষ্ট করে কুইজের সঠিক উত্তরটি খুঁজে বের করেছি। এবং সেটি আমরা আমাদের এই পোস্টটি দিয়ে দিয়েছি। আপনি একটু চোখ বুলালেই ভালভাবে দেখতে পাবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ প্রতিযোগিতার সকল পর্বের উত্তর আমরা এখানে তুলে ধরেছি।যারা নিয়মিত কুইজে অংশগ্রহণ করেন তারা অবশ্যই জানেন আমরা সঠিক উত্তর দিয়ে সবাইকে সাহায্য করি। তাই আজকে আপনাদের সুবিধার্থে কুইজের সঠিক উত্তর তুলে ধরেছি।
Contents
বঙ্গবন্ধু কুইজ আজকের উত্তর
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকায় আনার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কলকাতা কবির কর্মস্থল হলেও বিভিন্ন সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন। ১৯৪২ সালে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে কবি কলকাতাতেই ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে ভারত থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। কাজী নজরুল ইসলামকে কবে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়?
Ans: ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে তারিখে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
আজকের কুইজের উত্তর
রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বহুবার গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি টানা বছরের পর বছরও তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং এটিই ছিল তাঁর জীবনে শেষবারের মতো গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা। কবে শেষবার গ্রেফতার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু?
আজকের নতুন কুইজ
মামলাটি কবে দায়ের করা হয়?
উত্তর: ২ অক্টোবর ১৯৯৬
৮ ই মার্চের কুইজের প্রশ্ন
মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা জন্মগ্রহণ করেন কবে?
উত্তরঃ ৮ই আগস্ট ১৯৩০
২ মার্চ কুইজ
কবে এই পাঁচ খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়?
উত্তরঃ ২৮শে জানুয়ারি ২০১০
১০ মার্চের কুইজ
“যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই” গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ হাসান মতিউর রহমান
৯ মার্চের আজকের কুইজ
গ্রন্থটির বিষয়বস্তু কী?
উত্তরঃ গোয়েন্দা প্রতিবেদন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ ৭ই মার্চ
তোমার মনে যে কথা আসবে তুমি সেই কথা বলবা, কারণ সারাজীবন সংগ্রাম তুমি করেছো, তুমি জানো কী বলতে হবে। কে কি বলল, সে কথা তোমার শোনার কোনো দরকার নেই।” ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কথাগুলো বলেছিলেন কে?
উত্তরঃ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা
৫ই মার্চ কুইজ
সংবিধানের কততম সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়?
উত্তরঃ পঞ্চদশ সংশোধনী
৬ই মার্চ কুইজ
‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা/তুমি হৃদয়ের বাতিঘর/আকাশে-বাতাসে বজ্রকণ্ঠ/তোমার কণ্ঠস্বর’। এই গানটির গীতিকার কে?
উত্তরঃ কামাল চৌধুরী
৩ মার্চ কুইজ
গ্রন্থটি প্রথম কবে কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৯৯, কলকাতা
4 March Quiz
বেগম ফজিলাতুননেছা কোন উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন?
Ans: বঙ্গমাতা
বঙ্গবন্ধু কুইজ এর আজকের উত্তর
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩ আসন লাভ করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে জয়লাভের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এ বিজয় আমার নয়, আমার দলেরও নয়। এ বিজয় বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের, যাহারা র*ক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করিয়াছে।’ জয়ের পর বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন কবে?
উত্তরঃ ৭ই মার্চ ১৯৭৩
১ মার্চ কুইজ
কবে রায় ঘোষণা করা হয়?
উত্তরঃ ৮ই নভেম্বর ১৯৯৮
২৭ ফেব্রুয়ারী কুইজ
বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি কবে জাদুঘর হিসেবে উদ্বোধন করা হয়?
উত্তরঃ ১৪ই আগস্ট ১৯৯৪
বঙ্গবন্ধু কুইজ আজকের প্রশ্ন উত্তর
কত বছর বয়সে নিহত হন শেখ রাসেল?
উত্তরঃ ১০ বছর ৯ মাস ২৮ দিন
ইসলামের সমুন্নত আর্দশ ও মূল্যবোধের প্রচার ও প্রসার কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। কত সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়?
Ans: ১৯৭৫
২৫ ফেব্রুয়ারী কুইজ
বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের ল্যাটিচিউড ও লঙ্গিচিউড কত?
উত্তরঃ 22.906333, 89.896283
২৬ ফেব্রুয়ারী কুইজ
কবে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়?
উত্তরঃ ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৫
২২ ফেব্রুয়ারী কুইজ
কত বছর বয়সে শাহাদতবরণ করেন বঙ্গবন্ধু?
উত্তরঃ ৫৫ বছর ৪ মাস ২৯ দিন
ajker quiz
“মুজিবুর রহমান!
ওই নাম যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি-উগারী বান।”
—কবিতাটি কে লিখেছেন?
Ans: পল্লীকবি জসীম উদ্দীন
বঙ্গবন্ধু আজকের কুইজ
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রশ্নে ১৯৭১ সালের ১৬ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার বৈঠক শুরু হয়। আলোচনার জন্য ভুট্টোও ঢাকায় আসেন। ২২শে মার্চ বঙ্গবন্ধু-ইয়াহিয়া-ভুট্টোর আলোচনা হয়। কিন্তু সব আলোচনাই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। ২৫শে মার্চ সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করেন। এ রাতেই নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী হামলা করে। ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ২০ মিনিটে) বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাত ১টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কোথায় নেওয়া হয়?
সঠিক উত্তর: ঢাকা সেনানিবাস
বঙ্গবন্ধু আজকের কুইজ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং এর তিন দিন পর তাঁকে বন্দি অবস্থায় পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে গোপনে বঙ্গবন্ধুর বিচার শুরু হয়। ঢাকা থেকে করাচিতে স্থানান্তরের পর বঙ্গবন্ধুকে কোন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়?
সঠিক উত্তর: লায়ালপুর কারাগার
বঙ্গবন্ধু কবে তার বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন?
উত্তর: ২৩ মার্চ
বঙ্গবন্ধু কুইজ উত্তর
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রশ্নে ১৯৭১ সালের মার্চে আওয়ামী লীগের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানান। ভুট্টো প্রথমে সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেও ২১শে মার্চ তিনি ঢাকায় আসেন এবং ২২শে মার্চ ইয়াহিয়া ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁদের আলোচনা কতক্ষণ স্থায়ী হয়?
আজকের কুইজের সঠিক উত্তর: ৯০ মিনিট
১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমিতে ঢাকার প্রেসিডেন্ট ভবনে (বর্তমান স্টেট গেস্ট হাউজ সুগন্ধা) প্রেসিডেন্ট আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। পরপর কয়েক দিন কয়েক দফায় এই আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। প্রথম দফায় আলোচনা শুরু হয় কবে?
আজকের কুইজের সঠিক উত্তর: ১৬ মার্চ
আজকের কুইজ উত্তর
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মূলত বাংলার মানুষকে স্বাধীনতার সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ছাত্র-জনতা। বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন আরও জোরালো হয়। অফিস-আদালত, ব্যাংক, স্কুল-কলেজ, গাড়ি, শিল্প-কারখানা সবই বঙ্গবন্ধুর আদেশ অনুযায়ী চলে এবং বাংলার মানুষ অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেয়। ৭ই মার্চের ভাষণের জন্য কোন ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজনীতির কবি’ (পয়েট অব পলিটিক্স) আখ্যা দেয়?
আজকের কুইজের সঠিক উত্তর: নিউজউইক ম্যাগাজিন
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ ঐতিহাসিক এই ভাষণে তিনি প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে এবং শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে প্রস্তত থাকার আহ্বান জানান। ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর এই ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আন্তর্জাতিক সংস্থাটির নাম কী?
আজকের কুইজের সঠিক উত্তর: ইউনেস্কো
আজকের কুইজ প্রতিযোগিতার উত্তর
পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পর দেশবাসীকে একটি সর্বজনগ্রাহ্য শাসনতন্ত্র উপহার দিতে আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো। ১৯৭১ সালের ২৭শে জানুয়ারি ঢাকায় এই আলোচনা শুরু হয়। পরপর তিন দিন তাঁদের মধ্যে দেশের শাসনতন্ত্র নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর আলোচনা ব্যর্থ হয়। ৬-দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু। এই বৈঠক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
আজকের কুইজের সঠিক উত্তর: বঙ্গবন্ধুর বাসভবন (ধানমন্ডি ৩২ নম্বর
কুইজ
১৯৭১ সালের ১২ই জানুয়ারি ঢাকায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ই জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের জানান, আলোচনা সন্তোষজনক। প্রেসিডেন্ট শিগগিরই ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যকার বৈঠক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর: প্রেসিডেন্ট ভবন (বর্তমান স্টেট গেস্ট হাউজ সুগন্ধা)
১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন লাভ করে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে ১৭ই ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দেয় এবং ৩০০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতটি আসনে জয়লাভ করে?
উত্তর: ২৮৮
কুইজ
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘নৌকা’ পছন্দ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ঢাকার ধোলাইখালে প্রথম নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। ৬ দফার আলোকে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। বঙ্গবন্ধু কবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘নৌকা’ পছন্দ করেন?
উত্তর: ১৭ই অক্টোবর ১৯৭০
কুইজ
১৯৭০ সালের ৬ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুনরায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পাকিস্তানে তখন সাধারণ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। ১লা এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুরু হয় দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান নির্বাচনী কর্মসূচি কী ছিল?
উত্তর: ৬ দফা
১৯৭০ সালের ৮ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবনার তৎকালীন জিন্নাহ পার্কে (বর্তমান শহিদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম) এক জনসভায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রকল্পটির নাম কী?
আজকের কুইজের সঠিক উত্তর: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
১৯৬৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, “একসময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকুও চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে।… জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি- আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান’- এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’।” কোন জাতীয় নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার নামকরণ ‘বাংলাদেশ’ করেন?
আজকের কুইজের সঠিক উত্তর: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
কুইজ
১৯৬৯ সালের ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিলে শেখ মুজিবুর রহমানকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেয় আইয়ুব সরকার। কিন্তু প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন শেখ মুজিব। পরে জনগণের অব্যাহত চাপের মুখে ২২শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় এবং শেখ মুজিবসহ অন্যদের মুক্তি দেওয়া হয়। পরের দিন ২৩শে ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবকে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এই গণসংবর্ধনাটি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর: রমনা রেসকোর্স ময়দানে
কুইজ
১৯৬৯ সালের ৫ই জানুয়ারি ৬ দফাসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবুর রহমানসহ বন্দিদের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন শুরু করে সংগঠনটি। এ আন্দোলন গণআন্দোলনে পরিণত হয়। পরে ১৪৪ ধারা ও কারফিউ ভঙ্গ, পুলিশ-ইপিআরের গুলিবর্ষণ ও বহু হতাহতের মধ্য দিয়ে তা গণঅভ্যূত্থানে রূপ নেয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। কবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়?
উত্তর: ২২শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
১৯৬৬ সালের ৮ই মে থেকে কারাবন্দি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৮ সালের ১৭ই জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেলেও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জেলগেট থেকে তাঁকে আবারও গ্রেফতার করা হয় এবং ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে শুরু হয় মামলার বিচার। কবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার কাজ শুরু হয়?
উত্তর: ১৯ জুন, ১৯৬৮
কুইজ
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আনুষ্ঠানিক নাম কী?
১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে পাকিস্তান সরকার। মামলায় বলা হয়, শেখ মুজিব ও অন্যান্যরা ভারতের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আনুষ্ঠানিক নাম কী?
উত্তর: রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান
কুইজ
শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা গ্রন্থের নাম ‘আমার দেখা নয়াচীন’। এ গ্রন্থে তাঁর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব, অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার গভীর পরিচয় মেলে। একজন তরুণ রাজনীতিকের মনন-পরিচয়, গভীর দেশপ্রেম ও নিজ দেশকে গড়ে তোলার সংগ্রামী প্রত্যয় ফুটে উঠেছে রচনার পরতে পরতে। অপার সৌন্দর্যপ্রিয়তা, জীবন-সমাজ-সংস্কৃতির প্রতি মুগ্ধদৃষ্টি ও সঞ্জীবন-তৃষ্ণা এ গ্রন্থের বৈশিষ্ট্য। গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন কে?
উত্তর: শেখ হাসিনা
কুইজ
রাজনীতির পথ পরিক্রমায় শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের একটা বড় অংশই কারাগারে কাটিয়েছেন। এমনকি টানা বছরের পর বছরও তাঁকে কারাগারে বন্দি থাকতে হয়েছে। কারাবন্দি থাকার সময়ও শেখ মুজিব তৎকালীন রাজনীতি, সমাজ ও অর্থনীতি নিয়ে ভেবেছেন। এর প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর লেখা স্মৃতিকথায়। কারাজীবন নিয়ে শেখ মুজিবের লেখা স্মৃতিগ্রন্থ ‘কারাগারের রোজনামচা’র নামকরণ কে করেন?
উত্তর: শেখ রেহানা
কুইজ
শেখ মুজিবুর রহমান তখন কারাগারে। বন্ধু-বান্ধবরা তাঁকে জীবনী লেখার তাগিদ দেন। সহকর্মীরাও বলেন, ‘রাজনৈতিক জীবনের ঘটনাগুলি লিখে রাখ, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে’। বেগম ফজিলাতুননেছাও একদিন জেলগেটে বলেন, ‘বসেই তো আছ, লেখ তোমার জীবনের কাহিনী।’ উত্তরে শেখ মুজিব বলেন, ‘লিখতে যে পারি না; আর এমন কি করেছি যা লেখা যায়! আমার জীবনের ঘটনাগুলি জেনে জনসাধারণের কি কোনো কাজে লাগবে? কিছুই তো করতে পারলাম না। শুধু এইটুকু বলতে পারি, নীতি ও আদর্শের জন্য সামান্য একটু ত্যাগ স্বীকার করতে চেষ্টা করেছি।’ হঠাৎ একদিন শেখ মুজিবেরও মনে হয়, ভালো লিখতে না পারলেও ঘটনা যতদূর মনে আছে লিখে রাখতে আপত্তি কি? সময় তো কিছু কাটবে। পরে লিখতে শুরু করেন। শেখ মুজিবকে জীবনী লেখার জন্য খাতা কিনে জেলগেটে জমা দিয়েছিলেন কে?
উত্তর: বেগম ফজিলাতুননেছা
কুইজ
শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের একটা বড় অংশই কারাগারে কাটিয়েছেন। এমনকি একটানা বছরের পর বছরও তাঁকে বিনা বিচারে কারাগারে বন্দি থাকতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জেলগেটে গিয়ে শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করতেন। তাঁর ছোট ছেলে শেখ রাসেল কারাগারকে কী বলত?
উত্তর: আব্বার বাড়ি