চাঁদে জমি কেনার জন্য আবেদন | চাঁদের দেশে জমি কেনার উপায়

আজকে আমরা কথা বলবো চাঁদে জমি কেনার নিয়ম নিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে একটি ভাইরাল টপিক হচ্ছে চাঁদের জমি কেনা। কেউ তার বন্ধুদের সাথে মিলে চাঁদের জমি কিনছে আবার কেউ জমি কিনে তার বউকে গিফট করছে। তাই বাংলাদেশের মানুষ জানতে চাচ্ছে চাঁদকে জমি কেনার নিয়ম সম্পর্কে। আজকের এই পোস্টে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে তাদের থেকে জমি ক্রয় করা যায়।

চাঁদে জমি কেনার জন্য আবেদন

আপনি কিছু নিয়ম অনুসরণ করার মাধ্যমে খুব সহজে চাঁদে থেকে জমি কিনতে পারবেন। এমনটাই বলছে মার্কিন সংস্থা। তাই আমরা তাদের কথামতো কিছু নিয়মকানুন আজকের পোস্টে উল্লেখ করেছি। নিজে থেকে দেখে নিন চাঁদে থেকে জমি কেনার নিয়ম।

চাঁদে জমি কেনা কি সম্ভব?

জী সম্ভব! এতদিন বেশিরভাগ মানুষ জানত তাদের জমি কেনা সম্ভব না। কিন্তু ইদানিং বাংলাদেশের নিউজ মেডিয়া সবার সামনে এমন ভাবে সব কিছু প্রচার করছে যেন খুব সহজেই চাঁদে থেকে জমি কেনা যাবে। এবং আমরা দেখেছি অনেকে ৮০ ডলারের বিনিময়ে চাঁদে থেকে জমি ক্রয় করেছে। তাই আমরা আজকে আপনাদের জানাব কিভাবে চাঁদের থেকে জমি ক্রয় করতে হবে।

চা‌দে জমি ক্রয়ের নিয়ম

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত কিনেছিলেন চাঁদের জমি। তারপর থেকে অনেক মানুষ চাঁদে জমি ক্রয় করার চেষ্টা করছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে চাঁদ তারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। যেহেতু এখন অনেকেই চাঁদের একটুকরো জমির মালিকানার কথা ভাবছে। তাই জেনে রাখা ভালো যাদের জমি ক্রয় ও বিক্রি অবৈধ।

  1. প্রথমেই আপনাকে ডেনিস হোপের ওয়েবসাইট লুনার অ্যাম্বাসি ডট কমে যেতে হবে।
  2. শুধু চাঁদ নয়, পৃথিবী ও সূর্য বাদে মঙ্গল, বৃহস্পতিসহ সৌরমণ্ডলের অন্য যেকোনো গ্রহের জমি কিনতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে।
  3. আপনাকে ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
  4. এরপর অর্থ পরিশোধের প্রক্রিয়া শেষে আপনাকে চাঁদের যে অংশটি আপনি কিনলেন তার একটি স্যাটেলাইট ম্যাপ এবং জমি কেনার আইনি কাগজপত্র দেয়া হবে মেইলের মাধ্যমে।

বলা হয়ে থাকে, চুক্তির ফাঁক কাজে লাগিয়ে চাঁদে জমি বিক্রি হচ্ছে। ১৯৬৭ সালে চুক্তির একটি ফাঁক খুঁজে বের করেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। চুক্তিতে লেখা ছিল, কোনো রাষ্ট্র চাঁদের মালিকানা দাবি করতে পারবে না। কিন্তু কোথাও এটা বলা নেই যে, কোনো সাধারণ মানুষ মালিকানা দাবি করতে পারবে না। ১৯৮০ সালে এই সুযোগটি প্রথম কাজে লাগান ডেনিস হোপ। আমেরিকান আইন অনু্যায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি মালিকবিহীন সম্পদের মালিকানা দাবি করে, অন্য কোনো ব্যক্তি সেই সম্পদে দাবি না রাখে এবং দলিলে যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা স্বাক্ষর করে তাহলে সেই ব্যক্তি উক্ত সম্পদের মালিক হবে।

তবে আশার কথা এই, বিলটি মার্কিন সংসদে পাস হয়নি। তারপরও কি আপনি চাঁদে জমি কিনতে পারবেন? উত্তর হচ্ছে- না। কারণ আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কেউ চাঁদের মালিকানা দাবি করবে পারবে না, বা চাঁদকে নিজের সম্পত্তি মনে করা যাবে না। যদিও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান লোভনীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করছে- তারা চাঁদে জমি বা প্লট বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু এই জমির ভবিষ্যৎ কি তা স্পষ্ট নয়। এরপরও চাঁদে জমি কিনবেন কিনা সিদ্ধান্ত আপনার।

সর্বশেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে তাদের জমি কেনার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজকের এই পোস্ট যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করুন। যাতে সবাই জানতে পারে চাঁদে কিভাবে জমি ক্রয় করতে হয়।

আরও দেখুনঃ 

আকাশ ডিটিএইচ (DTH) মূল্য এবং সুবিধা

4 thoughts on “চাঁদে জমি কেনার জন্য আবেদন | চাঁদের দেশে জমি কেনার উপায়”

Leave a Comment