কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা

যারা কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে চান। তাদের কে আমরা কথা বলবো কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। বাঙালি কিসমিস প্রিয় মানুষ। তাই বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কিসমিস খেতে ভালোবাসে। তাই অনেকে ইন্টারনেটে কিসমিস উপকারিতা ও কিসমিস খাওয়ার সঠিক সময় জানতে চেয়ে অনুসন্ধান করে। আজকের এই পোস্টে আমরা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা উল্লেখ করেছি। তাই আজকের এই পোস্ট থেকে কিসমিস এর উপকারিতা জেনে নিন। আর সবাইকে জানতে হেল্প করুন।

কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা

কিসমিস এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন। তাই এটা আমাদের শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা সব সময় কিসমিস খেতে ভালোবাসে। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট এ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে।

  • কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা শরীরের পরিপাকক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর মত সমস্যা দূর করে।
  • সবাই ওজন কমাতে চায় না। এমন অনেক মানুষ আছে যারা ওজন বাড়াতে চায়। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান সেক্ষেত্রে কিসমিস হতে পারে আপনার পরম বন্ধু।
  • কিসমিস রোজকারের খাবারের মধ্যে রাখলে শরীরে ক্যাটেচিন এর মতন শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়,ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিসমিস শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • কিসমিসে ভিটামিন এবং খনিজগুলির সাথে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং পলিফেনলগুলির মতো অন্যান্য যৌগগুলির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • কিসমিসে পাওয়া যায় আরো এক উপাদান, ক্যালসিয়াম, যা হাড় ও দাঁতের জন্য খুব প্রয়োজন।
  • ঘুম ভালো না হলে শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে যাদুকরী ভূমিকা পালন করে কিসমিস। কিসমিসে যে আয়রন রয়েছে তা ভালো ঘুমে সাহায্য করে।

 কিসমিসের পুষ্টিগুণ

এখানে কিসমিসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।

প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম।

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

দেখে নিন কিসমিস খাওয়ার নিয়ম –

  • রান্না করেঃ সাধারণত কিসমিস রান্না করে খাওয়া হয় বিভিন্ন পায়েস সেমাই কিংবা কোরমা বানানো জাতীয় খাবার তৈরীর সময় কিসমিস দেয়া হয়। বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশের অন্যতম সুস্বাদু খাবার পায়েস তৈরিতে কিসমিস ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
  • কাচাঃ বাজার থেকে কিসমিস কিনে আপনি খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন তবে শুরু করবেন না কারণ এগুলোর সাথে নানা রকম ধুলোবালি থাকতে পারে তাই এগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো পরিমাণে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • রাতে ভিজিয়ে সকালে খানঃ কিসমিস খাওয়ার সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে রাতে কিসমিস কিছু পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সকালে চুপসে থাকা কিসমিস গুলো চিবিয়ে খেয়ে নিন। সারারাত ধরে ভিজানো কিসমিস ভেজানো পানি না ফেলে পানি গুলো খেয়ে ফেলতে পারেন এতে আপনার শরীরের জন্য নানান পুষ্টি উপাদান বহন করে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে বিশেষজ্ঞরা বলছে কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া সবচেয়ে ভালো

কিচমিচ ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস। কিন্তু শুকনো কিসমিস খাওয়ার বদলে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। রোজ কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।

কিসমিসের অপকারিতা

কিসমিস বেশি খেলে মানুষ মোটা হয়ে যাই।

সর্বশেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্ট এর সাহায্যে সবাই কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা পোস্ট ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। যাতে সবাই কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে। সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment