আজকে আমরা কথা বলবো কাঠ বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। বাঙালি কাঠ বাদাম প্রিয় মানুষ। তাই বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কাঠ বাদাম খেতে ভালোবাসে। তাই অনেকে ইন্টারনেটে কাঠ বাদামের উপকারিতা ও কাঠ বাদাম খাওয়ার সঠিক সময় জানতে চেয়ে অনুসন্ধান করে। আজকের এই পোস্টে আমরা শিশুদের কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা উল্লেখ করেছি। তাই আজকের এই পোস্ট থেকে কাঠ বাদামের উপকারিতা জেনে নিন।
Contents
কাঠবাদামের উপকারিতা
কাঠ বাদামে মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন। তাই এটা আমাদের শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা সব সময় কাঠ বাদাম খেতে ভালোবাসে। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট এ কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে।
• ভেজানো কাঠবাদাম হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
• প্রয়োজনীয় এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে।
• কাঠবাদাম ওজন কমাতে অনেক ভূমিকা পালন করে। এতে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট খিদে কমায় এবং দীর্ঘক্ষন ধরে পেট ভরিয়ে রাখে।
• কাঠবাদাম হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টরেল।। নিয়ন্ত্রণ করে।
• কাঠবাদাম ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• এ যেন কাঠবাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফোলা ভাব কমায় এবং অকালপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
• বাদামে উপস্থিত শরীরে টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
• কাঠ বাদামের তেল খুবই উপকারী। এটি ত্বক এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
গর্ভাবস্থায় পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খেলে তা সন্তান এবং মা-দুজনের শরীরের জন্য অনেক ভালো ।
কাঠবাদামের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠ বাদামে রয়েছে –
- এনার্জি- ৫৭৮ কিলোক্যালরি
- কার্বোহাইড্রেট- ২০গ্রাম
- আঁশ- ১২ গ্রাম
- ফ্যাট- ৫১ গ্রাম
- প্রোটিন- ২২ গ্রাম
- থায়ামিন- ০.২৪ মিলিগ্রাম
- নিয়াসিন- ৪ মিলিগ্রাম
- রাইবোফ্লেভিন- ০.৮ মিলিগ্রাম
- প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড- ০.৩ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন ই- ২৬.২২ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৬- ০.১৩ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম- ২৪৮ মিলিগ্রাম
- আয়রন- ৪ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম- ২৭৫ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম- ৭২৮ মিলিগ্রাম
প্রতিদিন কাঠবাদাম খেলে কি হয়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ত্বকের যত্নে কাঠবাদামের কার্যকারিতা।
- প্রদাহ কমায়।
- ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টি করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- উচ্চ র*ক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- হাড ও দাঁত ভালো রাখতে কাঠ বাদাম অনেক উপকারি।
- ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত বাদাম খালি পেটেই খাওয়া ভালো। সকালে বা বিকেলে বাদামের গুণাগুণ বেশি পাওয়া যায়। ভিজিয়ে খেতে পারেন বা না ভিজিয়েও। দিনে চার থেকে ছয়টি বাদামের বেশি খাওয়া যাবে না।
মাংসের সঙ্গে বাদামবাটা দিলে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ে, তেমনি বাদামবাটা দিয়ে রান্না করলে তেলও লাগে না। বাদামের তেল শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এতে কোনো ধরনের কোলেস্টরেল থাকে না, তাই হৃদ্রোগীদের জন্য বাতামের তেল উপকারী।
অন্যদিকে যাঁরা গরুর দুধ খেতে পারেন না, তাঁরা কাঠবাদামের দুধ খেতে পারেন। তবে বাদামদুধ তৈরি করার আছে নির্দিষ্ট নিয়ম। প্রথমে দুই ঘণ্টা বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ব্লেন্ডারে পানির সঙ্গে ব্লেন্ড করে ছাঁকনিতে ছেঁকে নিলেই হয়ে যাবে বাদামদুধ। এই দুধ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এমনকি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ও চোখের জন্যও দারুণ কাজ করে কাঠবাদাম।
কাঠবাদামের অপকারিতা
বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা নিবন্ধে বাদামের উপকারিতায় আমরা আগেই জেনেছি, এতে উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে। তাই মাত্রাতিরিক্ত বাদাম খেলে আপনি কিন্তু মোটা হয়ে যেতে পারেন। কাঠ বাদাম ওজন কমায় পাশাপাশি বেশি খেলে ওজন বাড়াতেও পারে। এছাড়াও অন্যান্য বাদাম রয়েছে যা সঠিক মাত্রায় না খেলে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় বাদাম যোগ করলে চার ভাগের এক ভাগ রাখুন।
সর্বশেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্ট এর সাহায্যে সবাই কাঠ বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি কাঠবাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা পোস্ট ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। যাতে সবাই কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে। সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
আরও দেখুনঃ