গিনেস বুকে নাম লেখানোর নিয়ম

অনেকেই আছেন যারা গ্রিনিজ বুকে কিভাবে নাম লেখাবেন সে সম্পর্কে জানতে চান। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা উল্লেখ করেছি কিভাবে গিনেজ বুকে রেকর্ড করে নাম লেখানো যায়। আজকের পোস্ট এর নিচের অংশে খেয়াল করুন এখান থেকে আপনারা জানতে পারেন কতগুলো ধাপ সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি গিনেজ বুকে নাম লেখাতে পারবেন।

গিনেস বুকে নাম লেখানোর নিয়ম

গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের নাম জানেনা এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এটি একটি বার্ষিক প্রকাশনা যাতে বিশ্বের যাবতীয় রেকর্ডসমূহ নথিবদ্ধ থাকে।

গিনেস বুকে নাম লেখানোর সঠিক নিয়ম ২০২৪

গিনেজ বুকে নাম উঠাতে চাইলে, তাহলে আপনার থাকা চাই, একাগ্রতা, অনন্য দক্ষতা ও কঠিন সংকল্প। হ্যাঁ, এর পাশাপাশি অনুসরণ করতে হবে গিনেজের আটটি ধাপ।

  • 01. গিনেজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘হোয়াট মেকস গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস রেকর্ড টাইটেল’ এবং তাদের নিয়ম-নীতিগুলো ভালো করে দেখে নিন। জেনে নিন, যে বিষয়ে আপনি অ্যাটেম্প্ট নেবেন এর আগের রেকর্ড ও আপনার সক্ষমতা।
  • 02. এবার নির্বাচন করুন কোনটির জন্য আপনি প্রতিযোগিতায় নামবেন। আপনি চাইলে নতুন কোনো আইডিয়াও জানাতে পারেন।
  • 03. অপেক্ষা করুন পরবর্তী গাইডলাইনের। আপনার দেওয়া নতুন আইডিয়া যদি নির্বাচিত নাও হয়,গিনেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেবেন কেনো হয়নি। এজন্য সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ।
  • 04. আপনার অ্যাটেম্প্ট নির্বাচিত হয়ে গেলে আপনাকে গাইডলাইগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে কী কী লাগবে ও কোন ধরনের প্রমাণাদি লাগবে। আপনাকে দেওয়া হবে ‘গাইড টু ইয়োর এভিডেন্স’, যেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন কীভাবে আপনার অ্যাটেম্প্ট ভেরিফায়েড হবে।
  • 05. এই ধাপে সবচেয়ে বেশি দরকার অনুশীলন। বেশি বেশি অনুশীলন আপনাকে আরও বেশি পারফেক্ট করে তুলবে এবং সহজেই মিনিমাম রিকয়ারমেন্ট আপনি অতিক্রম করে যেতে পারবেন।
  • 06.এই ধাপে করতে হবে অফিসিয়াল অ্যাটেম্প্টের জন্য পরিকল্পনা।
  1. দিন-তারিখ ও জায়গা ঠিক করুন যেখানে অ্যাটেম্প্ট করবেন।
  2. একজন নিরপেক্ষ সাক্ষী ও বিষয়পরিপূরক একজন বিশেষজ্ঞ হাজির রাখুন।
  3. প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও বিষয়াদির ব্যবস্থা রাখুন।
  4. অ্যাটেম্প্ট ডকুমেন্টেশনের জন্য একজন ফটোগ্রাফার ও ভিডিওগ্রাফার রাখুন।
  5. এই বিষয়ে বর্তমান রেকর্ডটি মাথায় রাখুন।
  6. এবার শুরু করুন।
  7. আপনার সব প্রমাণাদি ও দলিলপত্র সাবমিশনের জন্য প্রস্তুত রাখুন। সময়মতো অনলাইনে আপলোড করে কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করুন।
  8. যদি সফল হন, অভিনন্দন। আপনার কাছে পৌঁছে যাবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অফিসিয়াল সনদ। যদি অসফল হন, তাহলে হার না মেনে পরবর্তী অ্যাটেম্প্ট চেষ্টা করুন।

সর্বশেষ কথা

আশা করি আজকের পোস্ট এর সাহায্যে আপনারা জানতে পারেন কিভাবে গিনেজ বুকে নাম লেখাতে হয়। আপনাদের যদি গিনেজ বুকে নাম লেখানোর নিয়ম পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। যাতে উজ্জ্বল প্রতিভাবান লোক গুলো জানতে পারে কিভাবে তারা গিনেজ বুকে রেকর্ড করে নাম লেখাতে পারে।

আরও দেখুনঃ 

1 thought on “গিনেস বুকে নাম লেখানোর নিয়ম”

  1. আমি একজন কিশোর বীর মুক্তিযো*দ্ধা। নাম দেবেশ চন্দ্র সান্যাল।গেজেট ১৬৭৯
    সিরাজগঞ্জ বাঙলাদেশে। আমি শুল্ক কর্ম কর্তা পদের জন্য আবেদন করেছি লাম।কতৃপক্ষ আমার ইন্টার ভিউ কাড ইস্যুনা করায় আমি আমরন অনশণ করার ঘোষণা দিয়ে ছি লাম। বিষয়টি জাতীয় সংসদ এআলোচনা হয়ে ছিল। আমার জানা মতে এমন ঘটনা বিশ্ব এ এ-ই প্রথম।তা-ই গিনেস বুক এ উঠাতে চাই ০১৭১৩৭৪১৬৮৬
    হোআপ। পরামর্শ দিবেন।

    Reply

Leave a Comment