সংযুক্ত আরব আমিরাত, যা আমরা দুবাই নামেই চিনি। পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। দেশটির মোট আয়তন ৮৩,৬০০ বর্গ কিলোমিটার বা ৩২,৭৭৮ বর্গমাইল। দেশটির জনসংখ্যা ৪০ লক্ষ্যের বেশি। বর্তমান সময় থেকে ১০০ বছর পূর্বে দুবাই এত উন্নত ছিল না। বিশেষ করে ৫০ বছরে দুবাইয়ে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। বলা হয়ে থাকে বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম অবস্থান দুবাইয়ের।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিলাসবহুল জীবন যাপনের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের অনেক অবদান রয়েছে। তাদের কর্মস্থল বৃদ্ধি করার করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের এনেছে। এর মাঝে বাংলাদেশের প্রবাসীও রয়েছে। দুবাই থেকে বিভিন্ন কাজের নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুবাইয়ে কাজের সন্ধানে বিভিন্ন মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে অনেকেই।
আপনি হয়তো ভিসার জন্য আবেদন করেছেন তা যে কোন মাধ্যমে হোক। কিন্তু নিজের মধ্যে প্রশ্ন থেকে যায় আদৌও কি অরিজিনাল ভিসা পেয়েছি কিনা। এরকম চিন্তা ভাবনা হওয়াটা স্বাভাবিক, কারণ কিছু প্রতারক চক্র রয়েছে। যারা কিনা জাল ভিসা দেওয়ার মাধ্যমেও অনেক মানুষকেই ঠকিয়ে যাচ্ছে। তাই আপনি যদি ঠকতে না চান কিভাবে ঘরে বসে পাঁচ মিনিটের মধ্যে অনলাইনে ভিসা চেক করবেন। তা এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। এর জন্য একটি স্মার্টফোন যথেষ্ট, সাথে ইন্টারনেট সংযুক্ত থাকতে হবে। কিভাবে সহজেই চেক করবেন তা জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন।
Contents
দুবাই কোম্পানি ভিসা
নিজের বাড়ি ও দেশ ছেড়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে অনেকেই প্রবাস জীবন বেছে নেয়। কিছু অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে, সবকিছু ভুলে থাকার চেষ্টা করে প্রবাসীরা। নিজের শ্রম তখনই সার্থক হয় যখন কোম্পানির ভিসা নিজের হাতে পায় ও প্রবাসে পাড়ি দেওয়ার জন্য সমস্ত বিষয়বস্তু। তাদের কষ্টের টাকা কোন প্রতারক চক্রের হাতে পড়েছে কিনা। এর জন্য অবশ্যই ভিসা চেক করা উচিত। আপনি কোনভাবে প্রতারিত হচ্ছেন কিনা বা আপনাকে যে ভিসা প্রদান করা হয়েছে তা নকল কিনা। এখান থেকে খুব সহজে জানতে পারবেন। এখানে দুবাইয়ের ভিসা চেক করার নিয়ম দেখানো হয়েছে।
দুবাই ভিসা চেক
দেখা যায় নানা কারণে ভিসার মেয়াদ অতিক্রম হয়ে যায়। কেননা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভিসা প্রদান করা হয়। ভিসার মেয়াদ অতিক্রম হয়েছে কিনা, ভিসা আদৌও আসল কিনা বা আপনি যদি ভিসা না পেয়ে থাকেন। আপনার নামে ভিসা হয়েছে কিনা যদি জানতে চান তাহলে এখান থেকে জানতে পারবেন। শুধুমাত্র পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে যাচাই করতে পারবেন। দুবাইয়ে ভিসা চেক করার সহজ নিয়ম দেখানো হয়েছে।
দুবাই ভিসা চেক করার নিয়ম
ভিসা তখনই প্রয়োজন হয়, যখন একজন ব্যক্তি এক দেশ থেকে অন্য দেশে অবস্থান নেয়। তা কর্মসংস্থান হোক কিংবা ট্যুরিস্ট। ভিসা মুলত প্রবেশ করার মাধ্যম। এর মাধ্যমে আপনি ঐদেশে অবস্থান নিতে পারেন যে দেশ থেকে আপনি ভিসা পেয়েছেন। ভিসার মেয়াদ নির্দিষ্ট সময়ে জন্য তবে কর্মসংস্থান ভিসা দীর্ঘমেয়াদি হয়।
দুবাই ভিজিট ভিসা চেক করার নিয়ম
আপনি ঐদেশে তখনই প্রবেশ করতে পারবেন। যখন আপনার কাছে ভিসা থাকবে, অন্যথায় অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। কেউ যদি ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে চায় তাকে এয়ারপোর্টে আটকে দিবে। এছাড়াও ভিসা চেক করার সময় যদি নকল বের হয় তাহলে তাকে জব্দ করা হবে। তাই বলা যায় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এর জন্য অবশ্যই আপনার ভিসা চেক করা প্রয়োজন। এখান থেকে খুব সহজেই জানতে পারবেন কিভাবে ভিসা চেক করতে হয় । আমরা দুবাইয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম জানিয়েছি।
দুবাই ভিসা চেক অনলাইন
দুবাই ভিসা চেক করুন অনলাইনের মাধ্যমে। আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে। আজকের এই পোস্টে থাকার পদ্ধতি অবলম্বন করে জানতে পারবেন কিভাবে দুবাইয়ের ভিসা চেক করতে হয়। ভিসা চেক করার জন্য বিশ্বস্ত অফিসিয়াল সাইট থেকে জেনে নিন। এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর কিছু ইনফরমেশন দিতে বলবে, এজন্য অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট থাকতে হবে।
ইনফরমেশন ফর্মটি ফিলাপ করার পর ভিসার তথ্য জেনে নিতে পারবেন। যদি কোন কারণবশত ভিসা না লেগে থাকে তাহলে নো ডাটা ফাউন্ড লেখা আসবে। এতে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছুই নেই আপনি যার মাধ্যমে ভিসা জন্য আবেদন করেছেন। তার সাথে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে ক্লিয়ার হন। দেখুন আপনাকে কি ইনফরমেশন জানায় পরবর্তীতে আবার চেষ্টা করুন। এছাড়াও দুবাইয়ের টাকার মান জানতে এখানে প্রবেশ করুন।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক
শুধুমাত্র পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক করুন। এই সাইটে পাসপোর্টের সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে আপনি জেনে নিতে পারবেন ভিসার যাবতীয় তথ্য।
- প্রথমে আপনি একটি ব্রাউজার সিলেক্ট করুন
- তারপর এই লিংক https://smartservices.icp.gov.ae/echannels/web/client/guest/index.html#/dashboard কপি করে ব্রাউজারে পেস্ট করুন।
- অথবা icp smart service এখানে প্রবেশ করুন সরাসরি অফিসিয়াল পেজে নিয়ে যাবে। প্রথমে নিচের মতো এরকম ইন্টারফেস চালু হবে।
এখন পাবলিক ভিসা সার্ভিস অপশনে প্রবেশ করুন।
পরবর্তীতে নতুন পেজ ওপেন হওয়ার পর পাসপোর্ট এর তথ্য দিন। যেমন – আপনার পাসপোর্ট নাম্বার, পাসপোর্ট টাইপ, আপনার জন্ম তারিখ ও বর্তমান জাতীয়তা।
এখন আই এম নট এ রোব ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করুন।
- সর্বশেষ ধাপে সার্চ বাটনে প্রবেশ করুন। আপনার পাসপোর্ট ব্যবহার করে যদি কোন ভিসা তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে আপনি সেই ভিসা দেখতে পারবেন।
শেষ কথা
আশা করা যায় আপনি সঠিক তথ্য দিয়ে আপনি আপনার ভিসা চেক করতে পেরেছেন। যদি কোন কোন জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনাদেরকে ভিসা সম্পর্কিত কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব।