আজ পুরো বাংলাদেশে পালন করা হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ২০২৪। দীর্ঘ একটি বছর পর বাংলাদেশের বাঙালি আবারো ফিরে পেয়েছে পহেলা বৈশাখ ১৪৩১। এই দিনটি উপলক্ষে সকলে নানান আয়োজন এর মাধ্যমে উদযাপন করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নানা রকম আয়োজন এর মাধ্যমে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়। সর্বপ্রথম বাংলা নববর্ষের ইতিহাসে ১৯১৭ সালে এটি পালন করা শুরু করা হয়। পরবর্তীতে এই দিন উপলক্ষে সকল যুবক-যুবতী পহেলা বৈশাখের শাড়ি ও পাঞ্জাবী পড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে।
Contents
বাংলা নববর্ষ নিয়ে কিছু কথা
বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী কার্যক্রম পালিত হয়। বৈশাখ মাস জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় মেলার আয়োজন করা হয়। যে মেলাগুলোতে বৈশাখী উপলক্ষে গান বাজনা, পান্তা ইলিশ খাওয়া ও মেলায় বিভিন্ন জিনিস ক্রয় বিক্রয় করা হয়ে থাকে। অনেকেই আছেন যারা নিজেদের ছোটকালে বাংলা নববর্ষে নাগরদোলায় উঠেছেন।
এখনও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নাগরদোলায় উঠে মজা করার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে মাছে-ভাতে বাঙালি তাই বাঙালি বাংলা বছরের প্রথম দিন কে পান্তা ভাত ও ইলিশ মাছ ভাজি খাবারের উৎসব কে শুরু করে। তাই আপনিও চাইলে খুব সহজেই নিজের বাড়িতেই তৈরি ফেলতে পারেন পান্তাভাত ও ইলিশ ভাজি।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে লেখা
বাংলার বেশিরভাগ মানুষের পহেলা বৈশাখ নিয়ে রয়েছে দারুণ শৈশব। কারণ আমরা ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের আশেপাশে বড় মাঠে পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিশাল আয়োজন বসতো। যেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরো দিন বাংলা নববর্ষ পালন করা হতো। কেউ উঠতো নাগর দোলায় আবার কেউবা টাকা দিয়ে পান্তা ইলিশ খেত। অন্যদিকে এই দিনটি উপলক্ষে সবাই একজন আরেকজনকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা পাঠাতো। অনেক ছেলেমেয়ে নিজের গালে শুভ নববর্ষ অস্থায়ী ট্যাটু একে পহেলা বৈশাখের মাঠে ঘোরাঘুরি করতো।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু কথা
আবারও শুরু হলো বাংলা নতুন বছরের ক্যালেন্ডার ১৪৩১। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল প্রথম রাতের প্রহরে ১২ টা ১ মিনিটে নতুন বাংলা বছর শুরু হয়। চৈত্রের মারাত্মক গরমের বিদায় দিয়ে বৈশাখের কালবৈশাখী ঝড়ের আগমন ঘটে। গাছে গাছে আম লিচু সহ নানান রকমের গৃষ্ম কালীন ফলের দেখা।
বৈশাখের এই কাল বৈশাখী ঝরে আম গাছের আম কুড়াতে সবারই অনেক পছন্দ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা বৈশাখ মাসের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়। বলা হয়ে থাকে বাংলা নববর্ষের এই সংস্কৃতি হিন্দু সংস্কৃতি থেকে এসেছে। তারপরও বাংলার মানুষ সবাই মহালয়া বৈশাখ পালন করার চেষ্টা করে।
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১
বাংলা নববর্ষের কথা মনে পড়লেই মনে পড়ে পান্তা-ইলিশ ও নানা রকমের পিঠার আয়োজন। কারণ বাংলা নববর্ষ বাঙালির সকল কার্যক্রমের সাথে জড়িত। বাঙালির ঘরে ওঠে নতুন ধান সেই ধান দিয়ে তৈরি হয় নানা রকমের পিঠা। অনেকে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার জন্য নানা রকমের আয়োজন করে থাকে।
কেউবা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পাঞ্জাবি ক্রয় করে আবার নারীরা পরে শাড়ি। এ সকল কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে বাংলায় পালিত হয় প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ। তাই আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলা নতুন বছর ১৪৩১, বিদায় নিয়ে গেল বাংলা ১৪৩০ সাল, আবারো দীর্ঘ এক বছর পর দেখা হবে বাংলা নতুন বছর ১৪৩১।
Read More