আজকে আমরা কথা বলবো ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। বাঙালি ডিম প্রিয় মানুষ। তাই বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ডিম খেতে ভালোবাসে। তাই অনেকে ইন্টারনেটে ডিমের উপকারিতা ও ডিম খাওয়ার সঠিক সময় জানতে চেয়ে অনুসন্ধান করে। আজকের এই পোস্টে আমরা শিশুদের ডিম খাওয়ার উপকারিতা উল্লেখ করেছি। তাই আজকের এই পোস্ট থেকে ডিমের উপকারিতা জেনে নিন। আরও জানতে পারবেন কখন ডিম খেতে হয়।
Contents
ডিমের উপকারিতা
পেস্তা বাদামে মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন। তাই এটা আমাদের শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা সব সময় পেস্তা বাদাম খেতে ভালোবাসে। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট এ পেস্তা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত ডিম খাওয়া বেশ উপকারী। ডিম অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি ক্যালসিয়াম, আয়রন ও প্রোটিনের ভালো উৎস। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার উপকারিতা।
১. প্রতিদিন একটি ডিম খেলে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়। এটি দেহের কোষের কার্যক্রম ভালো রেখে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন একটি ডিম খান। ডিমের মধ্যে রয়েছে লুটেইন এবং জিয়াক্সএনথিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখের ছানি ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।
৩. ডিমে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল মস্তিষ্কের কোষকে ভালো রাখে। এটি স্নায়ুকেও সুস্থ রাখে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
৪. ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, যা শরীরের পেশিকে ভালো রাখে। এবং পেশির শক্তি বাড়ায় ও কর্মক্ষম রাখে।
৫. গবেষকরা বলেন, ডিম খেলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে। ফলে অন্য খাবার গ্রহণে আগ্রহ কমে ও দৈনন্দিন ক্যালোরির চাহিদার পূরণ হয়।
৬. ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ ও সেলেনিয়াম, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৭. ডিমের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভালো চর্বি। অনেকে ভাবেন– সব চর্বিই খারাপ। কথাটি সঠিক নয়। স্বাস্থ্যকর চর্বিও রয়েছে। এটি শরীরের জন্য ভালো।
ডিমের পুষ্টিগুণ
ডিমে রয়েছে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন বি ২, সায়ানো কোবেলামিন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, কোলেস্টেরল, ফোলেট, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, কোলাইন, সেলেনিয়াম ও আয়রন।
সকালে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
- চুল পড়ার হার কমে।
- দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।
- অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি দূর হয়।
- ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে।
- অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে।
- ওজন কমে।
- খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
- ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়।
- স্ট্রেসের প্রকোপ কমে।
- হাড়কে শক্তপোক্ত করে।
ডিম খাওয়ার নিয়ম
- হালকা আঁচে ডিম রান্না করুন ।যদি পুরো ক্যালরী টা পেতে চান তবে পোচ বা সেদ্ধ খান ।
- ডিমের সাথেই সবজি খান ।
- ভেজে খেলে heat stable oil যেমন, EV olive oil , Sunflower oil দিয়ে ভাজুন ।
- যথা সম্ভব পুষ্টিকর ডিম কিনুন , দেশীয় ,অর্গানিক ইত্যাদি ।
- বেশিক্ষণ রান্না হলে এর ক্যালরি কমে যাবে।
ডিমের অপকারিতা
আপনি এখনও অবধি নিশ্চই ডিমের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতার সম্বন্ধে জেনে গেছেন। তবে ডিমেরও কিছু অসুবিধা রয়েছে, সেটা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন।
- ডিম স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তবে ডিমে যাদের এলার্জি আছে তাদের ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেয়া উচিত।
- ডিম তৈরি করার সময় খুব অল্প পরিমাণে তেল ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত তেল হৃদয়ের পক্ষে ক্ষতিকারক।
- গ্রীষ্মের মরসুমে ডিমের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই ডিম ভালো করে সিদ্ধ করে খান।
- ডায়াবেটিস, হাইবিপি, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডিমের হলুদ অংশ খাওয়া এড়ানো উচিত।
- কিডনির সমস্যা থাকলে ডিম সেবন করবেন না। কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ডিম খেতে ইচ্ছা হলে, একবার আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
সর্বশেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্ট এর সাহায্যে সবাই ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা পোস্ট ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। যাতে সবাই ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে। সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
আরও দেখুনঃ