অবশেষে খোঁজ মিললো নায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি লাশের। তার লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ২ দিন যাবৎ নায়িকা শিমু নিখোঁজ ছিলেন। সর্বশেষ ১৭ জানুয়ারি সকাল দশটার দিকে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবু সালাম মিয়া জানান, সকাল দশটার দিকে কেরানীগঞ্জে থেকে নাইমা ইসলাম শিমু নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশকে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে আমরা জানতে পেরেছি এই নায়িকার লাশ উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই সহকর্মী নিত্য শিল্পী তাহমিনা হাসান বেবী ও চিত্র নায়িকা সাদিয়া মির্জা। তাহমিনা হাসান বেবি বলেন, শিল্পী সমিতি কর্তৃক ১৮৪ জন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীর মধ্যে ছিলেন তারা। সেখানে শিমুর নামও ছিল। ভোটাধিকার রক্ষার বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তারা। এজন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হুমকি ধামকি শুনতে হয়েছে। তাই তারা সন্দেহ করছেন, এই দ্বন্দের কারণেই হত্যা করা হতে পারে শিমুকে।
নায়িকা শিমুর চলচিত্র জীবন
শিমুর মৃত্যুর পরে তারাও শঙ্কিত রয়েছেন জানিয়ে তাহমিনা হাসান বেবি ও সাদিয়া মির্জা বলেন, এ ঘটনার পরে আমরাও আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বোধ করছি। আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত হোক ও অপরাধীর শাস্তি হোক।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় রাইমা ইসলাম শিমুর। এরপর একে একে অভিনয় করেছেন ৫০টিরও বেশি সিনেমায়। কাজ করেছেন বহু নাটক। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসবেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।