প্রত্যেক বছর ১৭ ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। সেই উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি পালন করার জন্য অনেকেই শতই মার্চের বক্তব্য গুগলে অনুসন্ধান করে। কারণ ঐদিন সরকারি ছুটি থাকে ও সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৭ ই মার্চ উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তাই আপনি যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ই মার্চের ভাষণ সবার সামনে দিতে চান। তাহলে আপনাকে আগে থেকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন সম্পর্কে জানতে হবে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় ও পরবর্তীতে কেক কাটা ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। সেই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার মতো একটি উদাহরণস্বরূপ ভাষণ নিচে তৈরি করা হয়েছে। যে ভাষণ ব্যবহার করে আপনি আপনার ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ভাষণকে আরো সুন্দর করতে পারবেন।
১৭ ই মার্চের বক্তব্য ২০২৪
১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি। টুংগীপাড়া গ্রামে ১৭ই মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন তার জন্ম জেলার নাম গোপালগঞ্জ জেলা। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে তিনি তার নিজস্ব বাসভবনে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন। তাই আজকে তার জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ই মার্চের বক্তব্য নিচে থেকে সংগ্রহ করুন।
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ভাষণ
১৭ ই মার্চ বাংলাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজিত হয়। সেই সবাই অনেকেই ১৭ ই মার্চ উপলক্ষে ভাষণ দিয়ে থাকেন। তাদের জন্য এখানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে জনপ্রিয় ভাষণ গুলো নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। যে ভাষণ ব্যবহার করে আপনি আপনার আলোচনা সবার বক্তব্যকে আরও সুন্দর করে সবার সামনে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।
১৭ ই মার্চের ভাষণ
আলোচনা সভায় ভাষণ বা বক্তব্য দেওয়ার আগে আমাদের অবশ্যই সে বিষয়ে সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। কারণ আপনি একটি বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান না রাখলে সে সম্পর্কে আপনি বক্তব্য দিতে পারবেন না। এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে ভাষণ তৈরি করা হয়েছে। নিচে ১৭ ই মার্চের ভাষণ দেখুন –
আজকে আয়োজিত ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপস্থিত সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ও সালাম (আসসালামু আলাইকুম)।
আজকের এই দিনে আমাদের সবার প্রিয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়াই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সহ ১৯৭১ সালের মুক্তিযু*দ্ধে বাংলার মানুষকে সাহস যুগিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যু*দ্ধ করার শক্তি দিয়েছে। আজ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন তাহলে আজকের এই দিন আরও রঙিন হতো।
তিনি তার ব্যক্তি জীবনে সব সময় চেষ্টা করেছেন গরিব মানুষকে সাহায্য করার ও দেশের জন্য সব সময় মঙ্গল কিছু করার। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতিকারীরা এই বাংলার ভালো কিছু মেনে নিতে পারেনি তাই তাকে নিঃসংশভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হত্যা করেছিল। ধিক্কার জানাই সেই সকল আক্রমণকারী ব্যক্তিদের প্রতি।
আমাদের সবার উচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নীতি ও নৈতিকতা ও তার দেখানো পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাই আজকের এই আলোচনা সভায় আমরা তার জন্য সবাই দোয়া করছি যাতে আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করেন।
আজকের আলোচনা সভায় আমি আমার বক্তব্য দীর্ঘ করবো না, সবাইকে আবারো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
সবার সাথে ১৭ই মার্চের বক্তব্য ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ভাষণ শেয়ার করুন। যাতে সবাই তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন জায়গায় ১৭ই মার্চের ভাষণ দিতে পারে।
আরও দেখুনঃ